Header Ads

অন্ডাল ও তোণ্ডারাড়িপ্পোড়ি আলোয়ার

||◆◆ অন্ডাল ও তোণ্ডারাড়িপ্পোড়ি আলোয়ার ◆◆||

[[[দাক্ষিণাত্যের কাহিনী]]]
যিনি জ্যেষ্ঠ মাসে স্বাতী নক্ষত্রে শ্রীবিল্লিপুত্তুর নগরে বিষ্ণুর রথাংশে জন্মগ্রহণ করেন, (যাঁহার কন্যাকে স্বয়ং নারায়ণ বিবাহ করিয়াছিলেন বলিয়া)
যিনি বিষ্ণুর শশুর নামে খ্যাত,
যাঁহার চিত্ত সর্বদা বিষ্ণুময় হইয়া থাকিত,
আমি সেই সর্বজনশিরোমণি ভক্ত শেষ্ঠের শরণাগত হই ।
এই মহাপুরুষের নাম অন্ডাল ।তিনি বাল্যকাল হইতেই নারায়ণের সেবানিরতা থাকিতেন এবং বলিতেন যে, নারায়ণ ভিন্ন আর কাহাকে তিনি বিবাহ করিবেন না ।
ব্য়স্থা হইলে পিত তাঁহার বিবাহ দিবার জন্য ব্যস্ত হইলেন ।
কিন্তু তিনি বিষ্ণু ভিন্ন অন্য কোন বর কে বিবাহ করিবেন না বলিয়া কৃতসংকল্পা হওয়ায়, পিতা কিংকর্তব্যবিমূঢ় হইয়া নারায়ণের ধ্যান করিতে লাগিলেন ।
কথিত আছে সেই রজনীতে স্বয়ং বিষ্ণু স্বপ্নে তাঁহাকে অভয় দিয়া বলিয়াছিলেন, ""আমায় তোমার কন্যারত্ন দিতে কুণ্ঠিত হইয়ো না । উনি সাক্ষাৎ লক্ষ্মী ।"""'''
সেই রজনীতে শ্রীবিষ্ণুমন্দিরের অর্চকও স্বপ্নে এইরূপ প্রত্যাদিষ্ট হন, '''কল্য প্রাতঃকালে  তুমি যাবতীয় বিবাহোপযোগী দ্রব্য অন্ডালের পিতার আলয়ে লইয়া যাইও এবং অন্ডালকে সুন্দর বেশভুষায় সজ্জিত করিয়া শিবিকা দ্বারা আমার মন্দিরে লইয়া আসিও।"""
অর্চ্চক তাহাই করিলেন।
যখন অন্ডালের পিত এই শুভসংবাদ শুনিলেন, তখন তাঁহার আর আনন্দের সীমা রহিল না।
অন্ডাল শিবিকারোহণে শ্রীশ্রীপুরুষোত্তমকে বিবাহ করিতে চলিলেন । তাঁহার পশ্চাৎ পশ্চাৎ অসংখ্য লোক চলিল ।
যখন তিনি মন্দিরাভ্যন্তরে প্রবেআহ করিলেন, নারায়ণ তাঁহাকে কর প্রসারিত করিয়া গ্রহণ ও আলিঙ্গন করিলেন ।
(একটু ভাবুন বন্ধুরা কত ভক্তিমতী হলে ভগবান তাঁর পাণিগ্রহণ করেন)
সেই আলিঙ্গনে অন্ডাল দ্রবীভূতা ও শ্রীবিগ্রহে একীভূতা হইয়া গেলেন ।
তাঁহাকে আর কেহ দেখিতে পাইলো না ।
তাঁহার পিতা কে চিন্তিত দেখিয়া শ্রীশ্রীপুরুষোত্তম ঈষদ হাস্য করিয়া কহিলেন,
"''"'অদ্য হইতে আপনি আমার শ্বশুর হইলেন। আপনি গৃহে প্রত্যাগমন করুন ।
আপনার কন্যা সর্বদা অমতেই থাকিবেন ।""'''"
অন্ডাল-পিতা হর্ষোৎফুল্লচিত্তে রোমাঞ্চিতকলেবরে বার বার সর্বজীবের পালনকর্তা পরমপুরুষ বিষ্ণুকে সাষ্টাঙ্গে বন্দনা করিয়া গৃহে প্রত্যাগমন করিলেন ।
সেই দিন হইতে তাঁহার নাম "'পেরিয়া আলোয়ার" অর্থাৎ "সর্বশেষ্ঠ ভক্ত" বলিয়া বিখ্যাত হইল। ৩০৫৬ খ্রীষ্টপূর্বাব্দে ইঁহার জন্ম ।।
জয় রামকৃষ্ণ ।।
~~~স্বামী রামকৃষ্ণানন্দ ।।
Powered by Blogger.